কার্পাসডাঙ্গা বাজারের মহারানী ফার্মেসীতে ভারতীয় ও নিন্মমানের ওষুধে সয়লাব : সংশ্লিষ্ট কৃতপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা

বিশেষ প্রতিনিধি : দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে মহারানী ফার্মেসীর সত্বাধিকারি হারুনের বিরুদ্ধে ভারতীয় ও নিন্মমানের ওষুধ বিক্রয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গোপন অনুসন্ধানে জানা যায়, কার্পাসডাঙ্গা বাজারের মাছের আড়ৎ সংলগ্ন মহারানী ফার্মেসীতে যৌনউত্তেজক ভারতীয় নিম্ন মানের ভায়াগ্রা, এনাগ্রা, এডিগ্রা,জিনসিগ্রা,সহ বিভিন্ন ধরনের যৌন উত্তেজক ওষুধ বিক্রয় করা হয়। গ্রামীণ জনপদের সাধারণ মানুষকে এ এ ধরনের ওষুধ সেবন করে ক্রমেই মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে এসব অসাধু ব্যবসায়ী। মহারানী ফার্মেসিতে সারাদিন গ্রাম্য ডাক্তারদের ভীড় লেগেই থাকে। গ্রাম্য ডাক্তারা অল্প পুঁজিতে সল্প সময়ে ধনি হবার চেষ্টায় মহারানী ফার্মেসিতে আসেন। এখান থেকে নামমাত্র মূল্যে ভারতীয় ও নিন্মমানের ওষুধ ক্রয় করে গ্রামের সাধারণ রোগিদের কাছে চড়া মূল্যে বিক্রয় করে। অধিক মুনাফার লোভে গ্রাম্য ডাক্তাররা বিভিন্ন ধরনের নি¤œ মানের ট্যাবলেট, সিরাপ, নেশা জাতীয় দ্রব্য, যৌন উত্তেজক ও গর্ভপাত ঘটানোর ওষুধ ভারতীয় মেয়াদাত্তীর্ণ ভেজাল ওষুধ বিক্রি করে যাচ্ছে। দেশে আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন ওষুধ উৎপাদন কারী প্রতিষ্ঠান থাকলেও অধিক মুনাফার লোভে মহারানী ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী হারুন নাম সর্বস্ব কোম্পানির ওষুধ বিক্রয় করছেন। যে সকল কোম্পানির কোন বিক্রয় প্রতিনিধি নেই। মহারানী ফার্মেসির মালিক অধিক মোনাফার আশায় অন্যান্য জায়গা থেকে নিয়ে আসে এবং ওষুধের মোড়কের গায়ে যে এরিয়া কোর্ড থাকে তা মুছে দেওয়া থাকে। কেননা প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলোর ওষুধ বিক্রয় করে শতকরা ১৫% এবং নাম সবস্ব ওষুধ কোম্পানির ওষুধ বিক্রি করে ৫০% পর্যন্ত লাভ পেয়ে থাকে। যে কারণে ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছে নিম্ন মানের ওষুধ। অনেক সময় ক্রেতারা বা রোগীরা ব্যবস্থাাপত্র নিয়ে ফার্মেসিতে গেলে ওই সব নিম্ন মানের ওষুধ ক্রেতার হাতে তুলে দেয় এবং ক্রেতাকে বলে ওষুধ ঠিকই আছে। শুধু নাম কোম্পানি আলাদা, কার্যকারিতা একই রকম। অথচ এতে রোগীর উপকারের চেয়ে ক্ষতির পরিমান বেশি। কোন কোন সময় মানুষের শরীরের দুর্বলতাকে পুঁজি করে কোনও রকম ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে নিম্ন মানের আকর্ষণীয় মড়কের ওষুধে। এসব প্যাকেটের বিভিন্ন ফল-ফলাদিও ছবি দিয়ে আকর্ষনীয় মোড়কে করায় বেশীর ভাগ ক্রেতারা আকৃষ্ট হয়। অথচ এ গুলো সেবন করে নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সেবনকারীরা। এরুপ অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাা নেওয়ার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাা নেওয়ার জন্য সচেতন মহল জোর দাবি জানিয়েছেন।এ বিষয়ে ফার্মেসী মালিক হারুনের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।